পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ৮ হাজার টাকা উন্নীতকরণ এবং বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আশুলিয়ার সীমান্তবর্তী জিরানী এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
বুধবার সকালে গাজীপুর সদরের পানিশাইল এলাকার মাছিহাতা সোয়েটার ও তুরাগ গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেত এসে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে ন্যূনতম বেতন ৮ হাজার টাকা ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে জিরানী এলাকার নর্দান ফ্যাশন, সাথী ফ্যাশন অ্যাপারেলস, ডরিন গার্মেন্টসসহ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে কর্মস্থলে থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসে।
পরে তারা জিরানী বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়ক অবরোধ করে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা আশুলিয়া থানার একটি টহল গাড়ির বেশ কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুরসহ মহাসড়কে চলাচলরত কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালানোর চেষ্ঠা করে।
শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের একটি দল প্রথমে নবী টেক্সটাইল এলাকায় অবস্থান নিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করেতে ৪-৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে করতে জিরানীর দিকে অগ্রসর হতে থাকলে শিল্প পুলিশেল ওই টিমটি আন্দোলনরত শ্রমিকদের মাঝখানে পড়ে যায়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ, জলকামান ও সজোয় যান নিয়ে এসে জিরানী এলাকায় পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ক পর্যায়ে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে পুলিশ কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা জিরানী এলাকা। সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের উদ্ধার করে স্