সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৪০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে যাচ্ছেন আজ রাতে। এই প্রথমবারের মতো তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
প্রধানমন্ত্রীর মূল সফরসঙ্গী ৯৪ জন। তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ জন, পররাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়ের ৯ জন, অন্য মন্ত্র্রণালয় ও সংস্থার ৪ জন, নিরাপত্তা দলের ১৯ জন, বিশিষ্ট নাগরিক ৩০ জন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ৫ জন ও গণমাধ্যমকর্মী ৯ জন। আর ৪৬ জন যাচ্ছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে। গত চার বছরে এটা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় বহর নিয়ে বিদেশ সফর।
এব্যাপারে গণমাধ্যমকে ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ জানান, এটা হবে আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আর এই অভিজ্ঞতাকে আমার পরবর্তীতে আমার দলের কাজে লাগাতে পারবো।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম জানান, আমি খবরটি শুনে অবাক হয়েছি। কারন প্রধানমন্ত্রী সেখানে বাংলায় ভাষণ দেবেন, যা আমরা শুনতে পারবে এবং তার দেওয়া ভাষণ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবো। আমি এজন্য নিজেকে নিয়ে আজ গর্বিত। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তাছাড়া তিনি আরও জানান, আসলে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের রাজনীতিকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেন, আমরা তার সফরসঙ্গী হচ্ছি এটাই তার প্রমাণ। এটা ছাত্রলীগের জন্য গর্ব।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বক্তৃতা করবেন। ১৪০জন সফরসঙ্গী থাকলেও এ ধরনের বক্তৃতার সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সর্বোচ্চ ১০ জন একসাথে উপস্থিত থাকতে পারেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত এ ধরনের সফরে হোটেল ও বিমানভাড়া ছাড়াও নগদ ভাতার পাশাপাশি ট্রানজিট ও টার্মিনাল ভাতা দেওয়া হয় সরকারিভাবে। এই সফরে জনপ্রতি বিমানভাড়া, দৈনিক ভাতা, ট্রানজিট ও টার্মিনাল ভাতা মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৬৮৯ টাকা খরচ হবে। আর হোটেল ভাড়া দেবে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন।