অবশেষে আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামলো হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেই সংগঠনটি ঘোষণা করেছে কঠোর কর্মসূচিও।
গত ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে রক্তাক্ত অভিযানের প্রায় সাড়ে চার মাস পরে গতকাল মাঠে নেমে আগের ১৩ দফার দাবির সঙ্গে নতুন আট দফা যোগ করে সংগঠনের নেতারা সরকারকে অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় ধারাবাহিক কর্মসূচি শেষে সচিবালয় ঘেরাও করার হুশিয়ারি দিয়েছেন ।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকেস্মারক লিপি দেয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করবে হেফাজত।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে ঘোষিত ৭ কর্মসূচি:-
১. কওমী মাদরাসার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ধ্বংস ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ‘কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন- ২০১৩’ বিল সংসদে পাশ করার সরকারি চেষ্টা অবলিম্বে বন্ধের দাবিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টায় সারাদেশে একযোগে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা।
২. আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যে-সকল জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়নি সেসব শাখায় কমিটি গঠন করে এর তালিকা কেন্দ্রে (সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবরে) প্রেরণ করা।
৩. হেফাজতে ইসলামের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ওলামা-সুধী সমাবেশ ও পেশাজীবি সংলাপ এর আয়োজন করা।
৪. আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন এর আয়োজন করা হবে।
৫. ১ লা ডিসেম্বর ’১৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি ’১৪ এর মধ্যে প্রত্যেক জেলায় শানে রেসালত সম্মেলনের ব্যবস্থা করা।
৬. শহীদদের জিয়ারত ও শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি কেন্দ্রে প্রেরণ করা।
৭. সরকার যদি হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত তাওহীদি জনতার প্রাণের দাবি ১৩ দফাসহ উত্থাপিত অন্যান্য দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না করলে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার জামিয়া আজিজুল উলূম বাবুনগর মাদ্রাসায় জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ২ অধিবেশনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। বিকেল ৩টা থেকে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমীর দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।