ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চলমান রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রণীত এক বিতর্কিত আইন কার্যকর করা হয়েছে ভিয়েতনামে।
ওই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফেসবুক এবং ব্লগ ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো সংবাদ আদান-প্রদানে ব্যবহার করা যাবে না।
এ সবের মাধ্যমে শুধু ব্যাক্তিগত তথ্যই শেয়ার করা যাবে। এছাড়া সরকার বিরোধী এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ কোনো বিষয়বস্তু অনলাইনে প্রকাশ করা যাবে না বলেও ওই আইনে বলা হয়।
এছাড়া ভিয়েতনামে সেবাদানকারী বিদেশি ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে তাদের স্থানীয় সার্ভার দেশটির ভেতরেই স্থাপন করতে বলেও ওই আইনে নিয়ম করা হয়েছে।
তবে এ আইনের কড়া সমালোচনা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন ইন্টারনেট কোম্পানি, মানবাধিকার সংগঠন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
ভিয়েতনাম একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্র এবং দেশটির কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছে। এমনকি চলতি বছরে কয়েকডজন গণমাধ্যমকর্মী এবং ব্লাগারকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে দেশটির সরকার।
দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এর সমালোচনায় বলে, তারা ওই আইনটির ধারাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর অফলাইনে যেমন তেমনি অনলাইনেও মৌলিক মানবাধিকার প্রয়োগযোগ্য।
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সের প্যারিস-ভিত্তিক সংগঠন ‘রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার’ বলে, এই আইনের ফলে ভিয়েতনামের জনগন স্থায়ীভাবে স্বাধীন এবং খোলাখুলি সংবাদ থেকে বঞ্চিত হবে। আর এ ধরনের সংবাদ সাধারণত ব্লগ এবং ইনাটরনেট ফেরামগুলোতেই বেশি প্রকাশিত হয়।
গুগল এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী দ্যা এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন বলেছে, এ আইনের ফলে নব নব আবিষ্কারের পথ রুদ্ধ হবে এবং ভিয়েতনামে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে উৎসাহ কমবে।