ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এসেছেন।
সকাল আটটা ৫৮ মিনিটে তিনি রাজধানী শাহবাগের এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
এখানে নবজাতকদের জন্য আইসিইউ (এনআইসিইউ), সেন্টার ফর নিউরো ডেভেলপমেন্ট অটিজম ইন চিলড্রেন, সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার, হেল্পিং বেবিজ ব্রিডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেন্টার, নবনির্মিত আউটডোর, বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।
এ সময় তিনি এ সব বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনাকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) ডা. মো. শহীদুল্লাহ, অন্যান্য কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত কার্যক্রম সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করবেন।
জানা গেছে, পরে সকাল সাড়ে ১০টায় ড্যান ডব্লিউ মজীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে শিক্ষক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির মেম্বর, বিভিন্ন অফিস প্রধান ও সিনিয়র নার্সদের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন।
এ সময় প্রোভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. এসএম জাকারিয়া স্বপনসহ হাসপাতালের পরিচালকরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, হেল্পিং বেবিজ ব্রিড, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েরর অধীনে ইউএসএআইডির আর্থিক সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা একটি প্রকল্প।
এর লক্ষ্য নবজাতকের জন্মপরবর্তী শ্বাসরুদ্ধতা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
বিএসএমএমইউ ২০১০ সালে সফলভাবে পাইলট প্রকল্প শেষ করার পর ২০১১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এই কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ইতোমধ্যে, ৪৫টি জেলায় প্রশিক্ষণ শেষ করা ছাড়াও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭ হাজার আটশ ৫৩ জন ডাক্তার, নার্স ও সিএসবিএকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোর ট্রেইনার ১২ জন, মাস্টার ট্রেইনার ৬৮ জন ও এক হাজার পাঁচশ ১৪ জন ট্রেইনার রয়েছেন।
নিরাময় অযোগ্য রোগীদের জন্য বাংলাদেশে প্রথম প্যালিয়েটিভ কেয়ার সার্ভিস ২০০৭ সালে শুরু হয় এবং ২০১১ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ সেন্টার প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রূপ লাভ করে।
বতর্মান বিএসএমএমইউতে প্রতিদিন বহির্বিভাগ সেবা ১৮ শয্যার ইনডোর সার্ভিস, ২৮ ঘণ্টা টেলিফোন সার্ভিস এবং একটি গৃহসেবা অবকাঠামো চালু রয়েছে।
একই সঙ্গে চিকিৎসক এবং রোগীদের পরিবারের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন ও আলোচনা সভার পর বেলা সাড়ে ১১টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বিএসএমএমইউ ত্যাগ করবেন।