তত্ত্বাবধায়কের জন্য ইউনূসকে ধরেছেন খালেদা: মোশাররফ

তত্ত্বাবধায়কের জন্য ইউনূসকে ধরেছেন খালেদা: মোশাররফ

mosa-al

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিনি মানেন না। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন খালেদা জিয়াই আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ড. ইউনূস সাহেবকে ধরেছেন। সে জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য তদবির শুরু করেছেন।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন মোশাররফ হোসেন। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কথা বলছেন। এমনিতে কথা বলে কোনো লাভ নেই। আপনি আগে বিএনপিতে যোগ দিন, তারপর কথা বলুন।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে দেশে সংসদ নির্বাচন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি রায় হয়েছে। রায় কার্যকরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

 

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।

 

আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে আজ চকবাজার এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় পুলিশ। ছাত্রশিবিরও চকবাজারসংলগ্ন প্যারেড মাঠে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে পিছু হটে। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই আওয়ামী লীগের সমাবেশ শেষ হয়েছে।

 

সাংসদ মোশাররফ হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে বলেন, ‘তেঁতুল হুজুর খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেঁতুল হুজুর যে ১৩ দফা দাবি দিয়েছেন, তা মানলে দেশের ৪০ লাখ নারী শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তখন দুই কোটি লোক না খেয়ে মরবে। এখন প্রশ্ন, খালেদা জিয়া কি তেঁতুল হুজুরের ১৩ দফা সমর্থন করেন?’

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে, বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন তাঁরা। এত দিন আমরা সহ্য করেছি, ভবিষ্যতে আর সহ্য করব না। নাশকতার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এ জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

 

 

জেলা সংবাদ