নতুন করে কোনো লাইসেন্স ছাড়াই থ্রিজি সেবার লাইসেন্সপ্রাপ্ত সেলফোন অপারেটররা এলটিই (লং টার্ম ইভোলিউশন) বা ফোর-জি মানের সেবাও দিতে পারবে এবং থ্রিজি নিলামের আর্নেস্ট মানি জমা দেয়ার সময়সূচি আরো ২ দিন বাড়তে পারে বলে এমন তথ্য জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, থ্রিজির লাইসেন্স নিলে ফোর-জি, এলটিই বা এর চেয়ে আরো উন্নতমানের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা দিতে অপারেটরদের নতুন করে কোনো লাইসেন্স নিতে হবে না।
সূত্র মতে, সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস (থ্রিজি, ফোরজি ও এলটিই) রেগুলেটরি লাইসেন্স গাইড লাইন ২০১২ নামে খসড়া নীতিমালায় চারটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। কোনো অপারেটর থ্রিজি লাইসেন্স নেয়ার পর বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে তাদের নেটওয়ার্ক ফোর-জি বা এলটিইতে উন্নীত করতে পারবেন। এতে অতিরিক্ত কোনো অর্থ না নেয়ার প্রস্তাবও করা হয় তখন। সেই নিয়ম অনুযায়ী বিটিআরিস চেয়ারম্যান এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, রোববার বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরো জানান, মোবাইলফোন অপারেটরদের সঙ্গে থ্রিজির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিষয়ের সমাধানও হয়ে গেছে। বাকি যে এক-দুইটা ইস্যুর এখনো সুরাহা হয়নি তা শিগগিরই হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, সিম রিপ্লেমেন্ট ট্যাক্স বিষয়ক সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। দু’একদিনের মধ্যে এ সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলফোন অপারেটরদের ‘বিড আর্নেস্ট মানি’ হিসেবে দুই কোটি ডলার জমা দেয়ার তারিখ দু’দিন পেছাতে পারে।
সে ক্ষেত্রে নতুন তারিখ হতে পারে ২৮ আগস্ট। যা পূর্বে আর্নেস্ট মানি জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল ২৬ আগস্ট।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থ্রিজির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক ও সিটিসেল থ্রিজি নিলামে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে।