চট্টগ্রামে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘অস্তিত্ব বিপন্ন হবে জেনে জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য মাঠে নেমেছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের রুখে দিতে হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনের ২০ বছর: সাফল্য ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।
ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, চবি’র শিক্ষক ড. গাজী সালেহউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন অভিযুক্তকে শুধু বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই যথেষ্ট নয়। যে দল, বাহিনী ও সংগঠন যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল তাদের অভিযুক্ত হিসেবে উপস্থিত করতে হবে। নইলে ন্যায়বিচারের কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।’
তারা বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ, জাতীয় বা অন্য কোনো মতবাদের নামে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে চাইলে অতীতে যারা এসব করেছে তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে।’
সভায় আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে লোকবলসহ অন্য যেসব ঘাটতি আছে তা পূরণ করার দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘জামায়াত এবং তাদের প্রধান মিত্র বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া মেনে নিতে পারেনি। জামায়াত জানে, এ বিচার যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব থাকবে না।’