যুদ্ধাপরাধের রায়কে ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা

যুদ্ধাপরাধের রায়কে ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা

bgbbমুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালকে কেন্দ্র করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ পোষাকে গোয়েন্দারাও সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ কাল রায়ের তারিখ ধার্য রয়েছে।

এ মামলায় উভয়পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ও যুক্তি-তর্ক শুনানী অন্তে ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায় ঘোষণার বিষয়টি অপক্ষেমান ছিল। ট্রাইব্যুনাল-১ এ এটি হবে দ্বিতীয় রায়।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর ৫ম কোনো আসামীর মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে কাল। ইতোমধ্যে আরো ৪ জনের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। গোলাম আযমের মামলার মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১এ ঘোষিত হবে দ্বিতীয় কোনো মামলার রায়।

এর আগে ট্রাইব্যুনাল-১এ জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম রায় ঘোষণা করা হয়।

অন্য ৩ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত বছরের ২২ মার্চ গঠিত ট্রাইব্যুনাল-২এ। এর মধ্যে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ফাঁসির আদেশ দিয়ে জামায়াতের সাবেক রোকন আবুল কালাম আজাদ ওরুফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে এ ট্রাইব্যুনাল।

একই ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং গত ৯ মে জামায়াতের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করেছে।

ট্রাইব্যুনাল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঠেকাতে ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্যণীয়। কাল রায় ঘোষণার দিন ট্রাইব্যুনালের সবগুলো প্রবেশপথ ও আশেপাশের পুরো এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে ঘোষিত রায়ের দিনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার ছিল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ঘিরে কেউ যেন কোনো রকম বিশৃংখলা সৃষ্টি বা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না পারে এবং ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচারিক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর