বিশ্বে সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক চিন্তাবিদের অন্যতম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নতুন করে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক চিন্তাবিদের যে তালিকা করেছে, তাতে অন্যদের পাশাপাশি রয়েছে ড. ইউনূসের নাম। এ তালিকায় আরও রয়েছে জোসেফ স্টিগলিটজ, বিল গেটস, মাইকেল পর্টার, থমাস ফ্রাইডম্যান, এরিক শমিড্ট, রিচার্ড ব্রানসন, ম্যালকম গ্লাডওয়েল, রবার্ট রেইচ, জ্যাক ওয়েলচ, নাইঅল ফারগুসন, মাইকেল দেল, হাওয়ার্ড গার্ডনার এবং জিমি ওয়েলস। গতকাল ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল, মিডিয়ায় ব্যবহৃত ও একাডেমিক পর্যায়ে ব্যবহৃত নামের ওপর ভিত্তি করে ওই তালিকা করা হয়েছে। এবারের তালিকা তৈরি করেছেন ব্যাবসন কলেজের প্রফেসর ও ‘হোয়াট ইজ দ্য বিগ আইডিয়া?’ বইয়ের লেখক টম ডেভেনপোর্ট। তার সঙ্গে সহায়তায় ছিলেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের জেফ্রে ক্রোনিন। টম ডেভেনপোর্ট বলেছেন, ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে জাতি সিক্স স্টিগমা ও ব্যাবসা প্রক্রিয়াকরণ পুনর্বিন্যাসের মতো ব্যাপক যেসব প্রবণতা ছিল তার অভাব দেখা দেয়। এর ফলে ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সফলতা পায় নি। তিনি বলেন, মানুষ জানার চেষ্টা করেছে অর্থনৈতিক সঙ্কট সম্পর্কে। এ থেকেই আর্থিক সঙ্কট অর্থনীতিকে করেছে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই অর্থনীতি র্যাঙ্কিংয়ে এতটা সফল হয়েছে। তিনি বলেছেন, নতুন এ তালিকা হলো সেলিব্রিটি অর্থনীতিবিদদের। অন্যদিকে ‘বি টিম’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বি টিম হলো অলাভজনক একটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্যার রিচার্ড ব্রানসন ও জোচেন জেইট (পুমা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)। বি টিমের যাত্রা শুরু এ বছরের ১৩ই জুন। এর সঙ্গে আরও যেসব সুপরিচিত ব্যক্তি যুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ইউএন ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথি ক্যালভিন, হাফিংটন পোস্টের প্রধান সম্পাদক আরিয়ানা হাফিংটন, সেলটেলের প্রতিষ্ঠাতা মোলব্রাহিম, নাচুরা’র প্রতিষ্ঠাতা গুলিলহেরম লিয়াল, ইকোনেট ওয়্যারলেসের প্রতিষ্ঠাতা স্ট্রাইভ মাসিয়িওয়া, নাইজেরিয়ার অর্থমন্ত্রী ড. নগোজি ওকোনজো আইওয়েলা, টাটা গ্রুপের রতন টাটা প্রমুখ। বি টিমের লক্ষ্য হলো একত্রে কাজ করে ব্যবসায়ের নতুন পন্থা বের করা, যাতে লাভের পাশাপাশি মানুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তারা প্রথমত তিনটি চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে কাজ করবে। এগুলো হলোÑ এক. ভবিষ্যতের নেতৃত্ব। দুই. পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভবিষ্যৎ (দ্য ফিউচার বটম লাইন) ও তিন. উদ্দীপনার ভবিষ্যৎ। অল্প সময়ে লাভ অর্জনের চেয়ে তারা এসব বিষয়কে প্রাধান্য দেবে। সৌজন্যে – মানব জমিন