থ্রিজি নিয়ে অনিশ্চয়তা কেন?

থ্রিজি নিয়ে অনিশ্চয়তা কেন?

অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা (থ্রিজি) নিয়ে। ৬ বছর ধরে চলছে থ্রিজি’র কাজ। ২০০৮ সাল থেকে শুরু। সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে থ্রিজি। সংসদীয় কমিটিও তাগাদা দিয়েছে অনেকবার। শেষ পর্যন্ত বারবার পিছিয়ে গেছে থ্রিজি’র নিলাম। এরই মধ্যে তৃতীয় বারের মতো তরঙ্গ নিলামের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। ২৪শে জুন থ্রিজি নিলামের কথা থাকলেও প্রথমবারে এক মাসের বেশি সময় পিছিয়ে নতুন সময় ৩১শে জুলাই করা হয়েছিল। গত ৬ই মে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিটিআরসি। এরপর ৯ই জুন সময়সূচি আবার পরিবর্তন করে ২রা সেপ্টেম্বর করা হয়। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগ্রহী অপারেটরদের আগামী ১লা আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন বাছাই  শেষে যোগ্য অপারেটরদের নাম ঘোষণা করা হবে ৫ই আগস্ট। ১২ই আগস্ট অপারেটরদের সঙ্গে প্রি-বিড মিটিং, ১৯শে আগস্টের মধ্যে বিড আর্নেস্টমানি জমা  দেয়া এবং ২৫শে আগস্ট যোগ্য অপারেটরদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে তৃতীয়বারের মতো নিলামের সময় পরিবর্তন হওয়ায় এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন বিটিআরসি’র ভূমিকা নিয়ে। থ্রিজি নিলামের আগে মোবাইল অপারেটরদের শর্তের সমাধান করতে পারেনি বিটিআরসি। সংশ্লিষ্টরা এ জন্য দায়ী করছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসকে। তারা জানান, ৯ মাস দায়িত্ব পালন করলেও এ নিয়ে খুব বেশি অগ্রগতি দেখাতে পারেননি চেয়ারম্যান। যদিও প্রতিষ্ঠানটির আগের চেয়ারম্যান থ্রিজি নিয়ে অনেক কাজ আগেই এগিয়ে দিয়ে গেছেন। তারা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদেশ সফরের অভিযোগ রয়েছে। ৯ মাসে তিনি ৫ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানেও তিনি অবস্থান করছেন পোল্যান্ডে। গত ৩০শে জুন তিনি ওই দেশ সফরে যান। এর আগে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ২০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করে তৃতীয় প্রজন্মের  মোবাইল প্রযুক্তি সেবা (থ্রিজি) লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক ও  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ  মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৬ই অপারেটরের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে পরিমাণ টাকা দিয়েই টেলিটককে লাইসেন্স নিতে হবে।  টেলিটকসহ মোট ৫ অপারেটর থ্রিজি লাইসেন্স পাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  চূড়ান্ত নীতিমালা ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স পাবে অপারেটররা। এদিকে  টেলিটকের থ্রিজি সেবা নিয়ে এখনই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রাহকরা। উচ্চ মাত্রার ব্যান্ডউইথ দিলেও তাদের থ্রিজি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

বিজ্ঞান প্রযুক্তি