তবে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, আপনারা যতই ভালো করেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগ ফিরে যাবে। এছাড়া কাঙ্ক্ষিত বিদেশি সহায়তা পাওয়া ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আয়, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, তদারকি, বাস্তবায়ন, সুশাসন ও জবাবদিহিতার উপর বাজেটের সঠিক বাস্তবায়ন নির্ভর করছে।
এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তবে বাজেটের ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারকে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এনবিআরের ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরো বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে বলা হয়, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিনিয়োগ, আমদানি ও উত্পাদন কমছে। এসব কারণে বর্তমানে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাজেটে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একক খাত হিসাবে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এটি এ যাবত্কালের জন্য সর্বোচ্চ। এ বিশাল বরাদ্দের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সরকারের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণাঞ্চলের ৩৩ শতাংশ মানুষের জন্য এটি প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়ন হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও অনেক বাড়বে। শেয়ারবাজারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন তিনি।
কালো টাকা শুধু জমি বা ফ্ল্যাটে নয়, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নেও একই সুবিধা সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিল্পখাত উত্সাহ পাবে।
বাজেটে সরকার ঘোষিত আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক খাতে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটা শিল্পের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে। তবে একইসাথে প্রায় ৯০০ এর বেশি মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা, ক্ষুদ্র দোকানদারদের উপর বর্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট প্রত্যাহার করা, পিএসআই ব্যবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।