৫মে হেফাজতে ইসলামির অবরোধ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেছেন, জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত ইসলাম শাপলা চত্বরে ৫ মে সরকার উৎখাতের যে ষড়যন্ত্র করেছিল, মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পিটুনি খেয়ে ‘সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ’ বলে পালিয়ে গেছে। এখন তারা নানান তালবাহানা শুরু করেছে। ষড়যন্ত্র করে অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, হেফাজতের কাঁধে ভর করে জামায়াত-বিএনপি দেশে তান্ডব চালিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে তারা। সম্প্রদায়িকতামুক্ত স্বাধীন দেশ গড়তেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। ধর্মনিরপেক্ষ ও অসামপ্রদায়িক দেশ না হলে এদেশের অস্তিত্ব থাকবে না।
সুরঞ্জিত আরও বলেন, সামপ্রদায়িক ও জঙ্গিগোষ্ঠীরা যদি মনে করে হিন্দু-বৌদ্ধদের কয়েকটি মন্দির-মূর্তি পুড়িয়ে দিয়ে তাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়া যাবে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। এগুলো পুড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুড়িয়ে দিয়েছে। সংখ্যালঘুরা কারো করুণার পাত্র না হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজেদেরই লাড়াই করে বাঁচতে হবে।
শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজকল্যাণ সংস্থা, চট্টগ্রাম আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, এ মুহূর্তে গণতন্ত্রের জন্য দুটি বড় হুমকি হচ্ছে সামরিকতন্ত্র ও সামপ্রদায়িকতা। দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রাম করে আমরা সামরিকতন্ত্রকে পরাজিত করে পিছু হঠাতে বাধ্য করেছি।
উল্লেখ্য, শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজকল্যাণ সংস্থা, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার নাথের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মঈনউদ্দিন খান বাদল এমপি ও সংগঠনের মহাসচিব সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ইসহাক মিয়া প্রমুখ।