আইটি সেক্টরেই আগামীর বাংলাদেশ

আইটি সেক্টরেই আগামীর বাংলাদেশ

আইটি সেক্টরে চাহিদা রয়েছে কয়েক লাখ লোকের। আর আইটি সেক্টরের লেখাপড়া সার্টিফিকেট নির্ভর নয়। একজন আইটি দক্ষ লোক পৃথিবীর যে কোনোখানে শুধুমাত্র দক্ষতার জোড়ে চাকরি পেতে পারেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে গার্মেন্ট সেক্টরের চেয়ে আইটি সেক্টরের রফতানি আয় বেশি হবে। আগামীর বাংলাদেশে তাই আইটি সেক্টরের ক্যারিয়ারই সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইউজিসি সদস্য ড. মো. আখতার হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান)।

‌এছ‍াড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন (আইটিইই)’ এর প্রকল্প পরিচালক শেখ আমজাদ হোসেন,  বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আইটিইই প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা হিদিয়ো হোয়া ও আইটি বিশেষজ্ঞরা।

বক্তারা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনা বেতনে যাদের পড়ার সুযোগ দেওয়া হয় তাদের বাধ্যতামূলক আইটি সেক্টরে পড়ানো উচিত। বাংলাদেশে আইটি সেক্টর প্রতিদিনই বড় হচ্ছে কিন্তু সে অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যপারে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ আইটিতে দক্ষ লোক কখনো বেকার থাকেন না। আর তারা চাকরির ওপর নির্ভরশীলও হন না। একজন আইটি পেশাজীবী বিশ্বমানের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন বাড়িতে বসেই।

কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, আশার কথা ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান আইটি সেক্টরকে অপ্রতিদ্বন্দী করে তুলেছে। এর অব্যাহত অগ্রযাত্রা আগামীতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এখন দেশের প্রথম ১০টি রফতানি সেক্টরের মধ্যে আইটি সেক্টরের স্থান রয়েছে। প্রায় ২০০ মিলিয়নের একটি বাজার তৈরি হয়েছে।

শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইটিট সেক্টরের ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টর এখন বিশ্বমানের। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানিও তাদের যাবতীয় গ্রাফিক, ওয়েব ডিজাইন ও আইটির কাজ বাংলাদেশে করে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আইটি সেক্টরে দক্ষ জনবল দরকার।

বক্তারা আরও বলেন, কোনো দেশের অর্থনীতি একটি সেক্টরের উপর নির্ভরশীল থাকলে তা নিরাপদ নয়। দেশের পোশাক শিল্প এখন সংকটের মধ্যে। আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে পারলে পোশাক ও আইটি শিল্প দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে।

বক্তারা জানান, আইটির জন্য পজেটিভ বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেটের মূল্য কমানো, ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো, অনলাইন পত্রিকা ও অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাকে প্রাধান্য দেওয়া এবং গ্রামে আইটি শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে পারলে দ্রুত সুফল পাওয়া যাবে। সরকারকে ই-গর্ভনেন্স, ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং, আইটি খাতকে প্রণোদনা, শিক্ষা সেক্টরে আইটিকে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হতে পারে।

অন্যান্য