২০১৩-১৪ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এবারের এ বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা গত অর্থ বছরের চেয়ে ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। এ বাজেটের পূর্বে ২০১২-১৩ অর্থ বছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল মোট ২৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, আসন্ন বাজেটে সমাজকল্যাণ, মহিলা ও যুব উন্নয়ন খাতে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল ১১২কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যা ব্যয় করা হবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে ক্রীড়ার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ৭২কোটি ২ লাখ টাকা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ ব্যয়ের খাত গুলো হচ্ছে-পুরাতন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্পের জন্য ৪৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা, ১১টি জেলায় নতুন করে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন বাবদ ৫০ কোটি টাকা, কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি টাকা ও উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলায় বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য পাঁচ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়াম নির্মাণ, শেখ কামাল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন, পুরাতন জেলা স্টেডিয়ামের সংস্কার ও মহিলা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের জন্য পাঁচ কোটি টাকা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নাটোর, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে ছয়টি জেলা স্টেডিয়াম ও খুলনা-রাজশাহীতে দুটি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, টঙ্গী টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টিএসএস) মাঠে স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপান্তর প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি টাকা, পাবনা জেলার শহীদ এ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামের সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও থোক বরাদ্দ হিসেবে ২০ কোটি টাকা।
বিকেএসপির জন্য প্রস্তাবকৃত খাতগুলো হলো বিকেএসপিতে বিদ্যমান ক্রীড়া সুবিধাবলীর অধিকতর উন্নয়ন ও তৃনমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ ও নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রকল্পের জন্য ৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও ইনডোর প্রশিক্ষণের সিনথেটিক টার্ফ সহ বেইলম্যান হ্যাংগার নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।