বাজেটে যতটা সংযমী ও সাশ্রয়ী হওয়ার প্রয়োজন ছিল রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তা হয়নি। বাজেট বাস্তবায়ন করা দুরুহ হবে।
বৃহস্পতিবার ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
“মূলত এটা হয়েছে একটি নির্বাচন-বিলাস বাজেট। যদি বাস্তবায়ন করা যায় তো ভালো। তবে সে আশা সফল হবে বলে মনে হয় না।”
এরশাদ বলেন, “দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে যে ধরনের বাজেট প্রণীত হওয়া উচিৎ ছিল সেই যৌক্তিকতা এড়িয়ে যেতে হয়েছে রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে।”
তিনি বলেন, “অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে, সব সরকারই তার মেয়াদের শেষ বাজেটে আসন্ন নির্বাচনে জনগণের আনুকূল্য লাভের জন্য সাধারণভাবে চোখে পড়ার মতো জনকল্যাণমুখী বরাদ্দ বা সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ রাখেন। এই বাজেটেও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি।”
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশে যদি স্বাভাবিক অবস্থা থাকে, গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ অগ্রসর হতে পারে। তাহলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তিনটি সরকারের হাতের ছোঁয়া পাবে। বর্তমান সরকার, তারপর নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার এবং নির্বাচনের পর নতুন সরকার।”
“তবে বেশি সমস্যা হবে নতুন সরকারের জন্য। কারণ প্রাথমিকভাবে যা দেখা যাচ্ছে তাতে প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
এরশাদ বলেন, “এই বাজেটকে আমি এক কথায় উচ্চাভিলাষী বাজেট বলতে চাই না। এটাকে গণবিরোধী বা গণমুখী বাজেট বলেও অভিহিত করতে চাই না। এই বাজেট প্রণীত হয়েছে নির্বাচন-বান্ধব বাজেট হিসেবে।”