নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ নিয়ে এক সভা শেষে মঙ্গলবার রাতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নানকে তাদের সমর্থন দেয়া হয়েছে। ’৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মান্নান দেশের সর্বাধিক ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের নির্বাচনে অবশ্য তিনি বিজয়ী হতে পারেননি। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি নেতারা একক প্রার্থী দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। এরই মাঝে আবার ১৮ দলভুক্ত সম্মিলিত ইসলামী ফোরাম নেতা হেফাজতে ইসলামীর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান মনোনয়ন তুলেছেন। এতদিন ১৮ দলের সমর্থন চূড়ান্ত না হওয়ায় মেয়র নির্বাচন করতে মনোনয়ন পত্র তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ দলের পাঁচ নেতা। এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৬ই জুন। দলীয় সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একক প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টায় বৈঠক বসে। তাতে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক ছাইয়েদুল আলম বাবুল, মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নান, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, মুজিবুর রহমান, হুমায়ুন কবির খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শাহান শাহ আলম, মনোনয়ন প্রত্যাশী শওকত হোসেন সরকারসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা এতে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে রাত পোনে ১২টায় বিএনপির আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাপক এম এ মান্নানের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় বিএনপি ও দলীয় সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান অপর মেয়র প্রার্থী হাসান সরকারসহ সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। এদিকে অধ্যাপক মান্নান দলীয় সমর্থন পাওয়ার খবর পেয়ে রাতেই আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন তার সমর্থক ও অনুসারী নেতা-কর্মীরা। রাতেই মান্নানের গ্রামের বাড়ি শালনা, পোড়াবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় আনন্দ মিছিল হয়। তাদের আনন্দের খবরে কেউ কেউ মিষ্টি বিতরণ করে ও পটকা ফাটিয়ে উল্লাস করেন।