এরশাদ বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকার এবং বিরোধী উভয় পক্ষের কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ দিশেহারা। জনগণ দুই নেত্রীর হাত থেকে পরিত্রাণ চায়, তারা বাঁচতে চায়, শান্তি চায়।
মানুষ শান্তিতে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি ফলপ্রসূ সংলাপ ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতার জন্য সরকার ও বিরোধী দলকে বলব, আপনারা সংলাপে বসুন। সংলাপ ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব নয়। সংলাপ হতেই হবে। দেশ যে জায়গায় চলে গেছে তাতে কার্যকর সংলাপের আর কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখে, সবার অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন করতে হবে। অন্য কোনো উপায়ে ক্ষমতার রদবদল দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে এপ্রিলে দুই নেত্রীকে পাঠানো চিঠির কোনো সাড়া না পাওয়া সম্পর্কে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া দেখছি না। তাদেরকে চিঠি পাঠানোর মধ্যে আমার নিজের কোনো স্বার্থ ছিল না। আমরা নির্বাচন চাই, সংঘাত দেখতে চাই না। এজন্য তাদেরকে সংলাপের অনুরোধ করেছি।’ সংলাপ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রীর হরেক রকম কথার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাদের অতিকথন বন্ধ হলে আমরা শান্তিতে থাকব।’
এখন মহাজোটে থাকলেও আগামী নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে এরশাদ বলেন, ‘আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। এখনো আমার যে জনপ্রিয়তা, তাতে আগামী নির্বাচনে কারো ওপর আমার নির্ভর করতে হবে না।’ হরতাল না দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, হরতালে-হরতালে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। দেশের উন্নয়ন বিপর্যস্ত হচ্ছে। অর্থনীতি থমকে দাঁড়াচ্ছে। একইসঙ্গে এটাও বলব-বিরোধী দলকে মিছিল-সমাবেশের অনুমতি না দেয়া অগণতান্ত্রিক, সংবিধান বহির্ভূত, সরকার এটা ঠিক করেনি।
জাপা প্রধান আরও বলেন, বুদ্ধের বাণী- ‘সকলের জন্য শান্তি’।
জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ইসলাম ও এসএম ফয়সাল চিশতি, জাপা চেয়ারম্যানের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা বাদল খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরু প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বুদ্ধিস্ট ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল গ্রুপের নেতাদের মধ্যে ছিলেন- উত্তম কুমার বড়ুয়া, অভিজিত্ বড়ুয়া, প্রণবেশ বড়ুয়া, নিপু বড়ুয়া, অরূপ রতন বড়ুয়া প্রমুখ।