সংলাপের গতি শ্লথ

সংলাপের গতি শ্লথ

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সংলাপ প্রক্রিয়া খুব ধীরে এগোচ্ছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের অবস্থান ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। তবে প্রধান দুই দল পরস্পরের কাছাকাছি পৌঁছার যে চেষ্টা করছে তার প্রশংসা করেন তিনি। আগামী ২৬ ও ২৭শে মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পার্টনারশিপ ডায়ালগকে সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংলাপে বিদেশীদের মধ্যস্থতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মজিনা বলেন, মানুষ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়। নিজেদের উদ্যোগেই সংলাপ করতে হবে। বাইরের কারও মধ্যস্থতায় নয়। আর সংলাপের মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে। তবে সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বন্ধু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তায় আগ্রহী বলে জানান তিনি। এতে এক প্রশ্নের জবাবে ড্যান মজিনা সাফ জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্র কোন ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না। রাজনীতির মাঠে সব খেলোয়াড়েরই মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সরকারকে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন বিরোধী দল অবাধে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে। একই সঙ্গে বিরোধী পক্ষকেও সহিংসতা ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ড্যান মজিনা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়ে উত্তর সবার জানা আছে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রয়েছে। টিকফা চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, চুক্তিটি সই হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে দু’দেশই লাভবান হবে। ভারত, শ্রীলঙ্কা বহু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে। আসন্ন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পার্টনারশিপ ডায়ালগে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংলাপ, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে জানান ড্যান মজিনা। দেশের গার্মেন্ট শিল্পে সামপ্রতিক সময়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধস এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনায় আসবে বলে আভাস দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য আন্তর্জাতিক জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর