মোবাইল ফোনসহ প্রায় সব ধরনের প্রযুক্তি পণ্যেরই একটি বড় ধরনের সীমাবদ্ধতার জায়গা হলো এসব ডিভাইসের ব্যাটারির চার্জ। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট পিসি—সব ডিভাইসেই বর্তমানের চাইতেও আরও বেশি ব্যাটারির আয়ু পাওয়া যায় এবং কী করে আরও বেশি দ্রুত চার্জ করা যায় তা নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। গ্রাহকদেরও এসব বিষয়ের আগ্রহের কমতি নেই। তবে ব্যাটারি নিয়ে এত চিন্তা থাকলেও এখনও পর্যন্ত বাস্তবে প্রচলিত ব্যাটারির চাইতে বাড়তি কিছু আসেনি বাজারে। তবে ব্যাটারি নিয়ে যত গবেষণা চলছে, তাতে বোধহয় এবারে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন অষ্টাদশী ইশা খারে উদ্ভাবন করেছেন এমন এক ক্যাপাসিটর যা মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই একটি মোবাইল ফোনকে পূর্ণাঙ্গ চার্জ প্রদান করতে পারবে। শুধু তাই নয়, চার্জ থাকেও এতে বেশি। ইশা খারে এই ক্যাপাসিটরকে বলেছেন সুপার ক্যাপাসিটর। ইন্টেল ফাউন্ডেশনের ইয়াং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডের ৫০ হাজার ডলারের পুরস্কারটিও জিতে নেন ইশা এই উদ্ভাবন দিয়ে। পাশাপাশি প্রদর্শনীতে এই সুপার ক্যাপাসিটর প্রদর্শন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্বকে। প্রদর্শনীতে হাজির থাকা গুগলসহ বড় বড় সব টেক জায়ান্টের প্রতিনিধিরাও অবাক বনে গেছেন ইশার এই উদ্ভাবনে। ইশা জানিয়েছে, তার মোবাইলের চার্জ যখন শেষ হয়ে যেত, তখনই তার খারাপ লাগত। বার বার মোবাইল চার্জ করাটা বেশ বিরক্তিকর ছিল তার কাছে। তাই তার মাথার মধ্যে সবসময়ই ঘুরপাক খেত, কী করে মোবাইল চার্জিংয়ের ঝামেলাকে দূর করা যায়। এই চিন্তাই তাকে এগিয়ে দিয়েছে এই সুপার ক্যাপাসিটর উদ্ভাবনে। ইশার উদ্ভাবিত ছোট্ট এই ডিভাইসটি এঁটে যায় ব্যাটারির মধ্যে। এবং এটি যেকোনো ব্যাটারিকেই পূর্ণাঙ্গ চার্জ করতে সময় নেয় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। তাছাড়া প্রচলিত ব্যাটারিগুলো গড়ে এক হাজার বার চার্জ করা গেলেও ইশার ডিভাইসটি চার্জ করা যাবে ১০ হাজার বার। এখনও পর্যন্ত একটি এলইডি লাইটে এটি পরীক্ষা করা হলেও আশা করা হচ্ছে প্রায় সব ধরনের ডিভাইসেই এটি ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া এটি নমনীয় হওয়ায় নমনীয় ডিসপ্লে এবং কাপড়েও একে সংযুক্ত করা অসম্ভব নয় বলেই মন্তব্য ইশার।