সাভারের সেই ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা তিনটায় যশোরের বেনাপোল রেল স্টেশন বল ফিল্ড এলাকা থেকে সঙ্গী মিঠুসহ রানাকে আটক করে র্যাবের একটি বিশেষ দল। সঙ্গী মিঠু বড় আতড়া এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তার বাড়িতেই অবস্থান করছিল রানা। সে তার সঙ্গী অনীলকে সাথে করে আজ ভোরে ফরিদপুরের কানাইপুর থেকে বেনাপোলে পৌঁছায়। খবর পেয়ে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লে. কর্ণেল জিয়া আহসানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম হেলিকপ্টার নিয়ে দ্রুত যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমান বন্দর থেকে গাড়ি করে লে. কর্ণেল জিয়া দুপুর ২টার দিকে বেনাপোলে পৌঁছান এবং কঠোর গোপনীয়তায় অভিযান চালান। খবর পেয়ে অনীল সটকে পড়ে। র্যাব বেনাপোল রেল স্টেশন এলাকার বল ফিল্ড এলাকা থেকে রানা প্লাজার মালিক মোষ্ট ওয়ান্টেড সোহেল রানা ও তার আশ্রয় দাতা বেনাপোলের মিঠুকে আটক করে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিকাল সাড়ে ৩টায় রানা ও তার সঙ্গী মিঠুকে যশোর বিমান বন্দরে নেয়া হয়। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমান র্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে রানা ও তার সঙ্গী মিঠুকে যশোর থেকে ঢাকায় আনা হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের লে. কর্ণেল জিয়া আহসান আটক অভিযানের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যার পরে কোন এক সময় রানা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বেনাপোলের বড় আচড়া গ্রামের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী শাহ আলম মিঠু সোহেল রানাকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পার করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল। মিঠু স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। এদিকে ভারতে পার করে দেয়ার শর্তে রানা অনীলের মাধ্যমে মিঠুকে প্রচুর টাকা দিয়েছিলো বলেও র্যাব জানতে পারে। লে. কর্ণেল জিয়া বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানান, আটক করার সময় রানার হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে প্রচুর টাকা ও কয়েক বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে র্যাবের এই অভিযান পরিচালিত হয়। র্যাব ৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর জাহিদ বলেন, রানা খুলনায় আছে এমন একটি তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সকালে খুলনায় অভিযান চালায়। এখন ধারণা করা হচ্ছে এই তথ্য ছিল ভুল। রানা র্যাবকে খুলনার দিকে ব্যস্ত রেখে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথ খুজছিলো। মেজর জাহিদ জানান, গত রাতে রানা অনীলের সহায়তায় ফরিদপুরের কানাইপুরের একটি বাসায় ছিল। সেখান থেকে সকালে একটি প্রাইভেট কারযোগে বেনাপোলের শাহ আলম মিঠুর বাড়িতে পৌঁছায়। মিঠু তাকে আশ্রয় দেয়। এই বাড়িতেই রানা ও অনীল দুপুরের খাবার খায়। খবর পেয়ে র্যাবের বিশেষ টিম অতি গোপনে অভিযান চালিয়ে রানা ও তার আশ্রয়দাতা মিঠু এবং লাইনম্যান অনীলকে আটক করে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রানা ও মিঠু কে যশোর বিমান বন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় র্যাবের হেড কোয়াটারে নিয়ে আসা হয়।