সাভারের বাতাসে এখন লাশের গন্ধ ভাসে। মর্মান্তিক আর মর্মন্তুদ দৃশ্য সেখানে। ইতিহাসের ভয়াবহতম ভবন ধবসের ট্রাজেডিতে মৃতের সংখ্যা দু’শ ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা ৩০০ টি। এর মধ্যে ২৩০ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সাভার ট্রাজেডিতে আসলে কতলোক প্রাণ হারিয়েছেন তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। ঘটনার ৫২ ঘন্টা পরও ভবনে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ। তাদের কেউ জীবিত, কেউবা মৃত। আজ ভোর থেকেই নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। মঙ্গলবার ফাটল ধরার পর বুধবার সকালে ধসে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা ‘রানা প্লাজা’, যার চারটি তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন ঘটনার সময়। এ ঘটনায় আজ জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। সকাল থেকে দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও সেনা সদস্যরা রাতভর এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিলেও স্থানীয় বহু মানুষ এক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা রাখছেন। উদ্ধারকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিদ্দিকুল আলম শিকদার বলছেন, আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।