যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা নতুন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ভূমিকা নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতিকে এদেশের মানুষ অভিনন্দন জানাবেন, কারণ তিনি বাংলাদেশেরই প্রতীক। গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টের উপর আমেরিকান সেন্টারে বুধবার অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মজীনা এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত মজীনা বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তারই আলোকে সকল রাজনৈতিক দল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় খুঁজে বের করবে আশা করি। এদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক পক্ষ জড়িত। কেবল এক ব্যক্তির উপর কোন কিছু নির্ভর করে না। আমি আশা করি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কোন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই ভূমিকা রাখবেন।
রাষ্ট্রদূত মজীনা বলেন, হরতাল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে। হরতাল প্রতিহিংসার জন্ম দেয়। আমি হরতাল ঘৃণা ও হরতালকে অর্থহীন মনে করি। কে হরতাল ডাকল তা পরোয়া করি না।
সহিংসতা বা সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে দলগুলোকে। কারণ এটা গণতান্ত্রিক নয়। সরকারকে সবার মতপ্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট প্রসঙ্গে ড্যান মজীনা বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কেবল খণ্ডচিত্র এটি। এখানকার পরিস্থিতি খুব ভাল বা ভয়াবহ কোনটাই বলা যাবে না। রিপোর্টে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে সেগুলো মোকাবেলা করা যাবে তাই বলা হয়েছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীতে কোন দেশই চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ নয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও নয়। শিশুদের উটের জকি হিসাবে ব্যবহার বন্ধ, শিশুশ্রম বন্ধ বা মানব পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে।
রাষ্ট্রদূত মজীনা মন্ত্রিসভায় শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ায় প্রশংসা করেন।