দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিবিদদের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে। এর একটি ডেনমার্ক ও অন্যটি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথম বৈঠকে ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা অংশ নিলেও দ্বিতীয় বৈঠকটি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বৈঠকগুলোর আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত না জানা গেলেও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। এ কারণে বৈঠক দু’টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার বাসভবনে। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।
এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ড্যান ডব্লিউ মজীনা যান ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সোয়েন অলিং এর বাসভবনে, যেখানে সর্বমোট ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারের মধ্যে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজীনা ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সোয়েন অলিং ছাড়াও ছিলেন যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, কানাডা, ইতালি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা।
সূত্র জানায়, রাজপথের রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়ার পাশাপাশি সরব দেশের কূটনৈতিক পাড়াও। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদদের দূতাবাস পাড়ায় পুনর্মিলনী, বৈঠক, নৈশভোজ ও রুদ্ধদ্বার বৈঠক এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা। এসব অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে যোগ দিচ্ছেন দেশের প্রতিটি দলের রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও দেশের সাবেক কূটনীতিবিদরা।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, সরকার ও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রায়ই দূতাবাস পাড়ার এসব বৈঠক বা ভোজকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। কূটনীতিবিদদের এসব বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশের সম-সাময়িক রাজনীতি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। বিশেষত, আগামী নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হচ্ছে। কূটনীতিবিদদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সংলাপের। আর বৈঠকগুলোতে উপস্থিত রাজনীতিবিদরাও এ বিষয়ে মতামত বা সম্মতি দিচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের বৈঠক দু’টি হয়েছে। সেখানেও আগামী নির্বাচনের পদ্ধতি ও সংলাপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।