নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে টিআইবির প্রস্তাব পেশের একদিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, নতুন ফর্র্মূলা জটিলতা সৃষ্টি করবে। এতে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আজ গণভবনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ বক্তব্য রাখলেও টিআইবি’র নাম উল্লেখ করেননি।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে যারা ‘ফর্মূলা’ দিচ্ছেন, তাদের বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি পর্যবেক্ষণের পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যহত রাখা। কেউ যেন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে না পারে।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, উনি মনে করেন, কয়েকটা লাশ ফেললে আর্মি এসে উনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের আগে নিরাপত্তা ছাড়াই বিরোধীদলীয় নেতা তার সেনানিবাসের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি যেটা ঘটাতে চাচ্ছিলেন, আমরা তা আটকিয়েছি। তবে, আমরা অনেক ব্রিলিয়ান্ট অফিসারদের হারিয়েছি।
বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানে দুর্বলতা নয়। হরতালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, হরতাল দিয়ে মানুষ মারার অধিকার কে দিয়েছে? এখন যদি বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দের মূল্যবান যানবাহনে এবং তাদের বাসস্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়, তাহলে কোথায় যাবেন? মানুষের তো সহ্যের সীমা আছে? যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় আপনারা মানুষ হত্যা করবেন- আর আমরা বসে থাকব?
ফটিকছড়িতে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে হরতালবিরোধী মিছিলে হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাইক ব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণা দেয়া- এটা কোন ইসলাম হেফাজত করে? বিরোধীদলীয় নেতাকে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য উনি মানুষ হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ইয়াহিয়ার মতো পোড়া মাটি নীতি গ্রহণ করেছেন। ইয়াহিয়া বলেছিল, বাংলার মানুষ নয়, তার মাটি দরকার।