স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক। এসব তাণ্ডবের বিচার হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দলীয় কর্মী সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই সাতকানিয়ায় জামায়াতের সাংসদ আছে বলে পুরো দেশ কি জামায়াতের? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সাতকানিয়া জামায়াতকে ইজারা দেওয়া হয়নি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। সহিংসতা যারা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের চেয়ে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাঈদের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ চেমন আরা তৈয়ব, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী সাংসদ হাসিনা মান্নান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন।
এর আগে মন্ত্রী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের শিকার উপজেলার চরতী ইউনিয়নের সুইপুুরায় অবস্থিত রূপনগর সুদর্শন বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন। কর্মিসভা শেষে মন্ত্রী সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের আলুরঘাট এলাকায় ডলু নদীর ওপর ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।