হেফাজতে ইসলামের ডাকা ৬ এপ্রিলের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চে সহিংসতা হলে, এর দায়দায়িত্ব ১৮ দলকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘১৮ দল অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার করে। এ জন্য হেফাজতে ইসলামের লংমার্চেও তারা সমর্থন দিয়েছে বলে জেনেছি। তাই ওই দিন কোনো ধরনের সহিংসতা হলে তার দায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলকে নিতে হবে।’ এ ছাড়া লংমার্চে কোনো ধরনের সহিংসতা না হলে সরকার এতে বাধা দেবে না বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহীতে সংঘটিত সহিংসতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা সহিংসতা ঘটিয়েছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, তাঁদেরকে অর্থ দিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই শুধু সহিংসতাকারীদের নয়, যারা এর নির্দেশ দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ ছাড়া গত সোমবার আহত পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া ঝর্ণাকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি ব্লগে ইসলামের নামে কটূক্তিকারী ১১ জন ব্লগারকে শনাক্ত করেছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই তিনজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে জামায়াত যাতে কোনো ধরনের ফায়দা লুটতে না পারে, সে জন্য তাদের (হেফাজতে ইসলামকে) সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।