দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারের সঙ্গে দেখা করে পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সাক্ষাৎকালে ব্যবসায়ী নেতারা রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা দাবি করেন।
এ সময় আইজিপি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, পোশাক শিল্প মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি একে আজাদ, এফবিসিসিআই’র ১ম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীরা আইজিপিকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন হরতাল আহ্বান করা হচ্ছে এবং হরতাল চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে নিরাপদে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। হরতাল চলাকালে এই মহাসড়কে, বিশেষ করে চৌদ্দগ্রাম ও সীতাকুণ্ডে গার্মেন্টসের পণ্যবাহী কভার্ডভ্যান জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এতে করে রফতানিমুখি শিল্পে গভীর আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে উদ্যোক্তারা হরতাল চলাকালে এই পথে একদিকে রফতানি পণ্য জাহাজীকরণ করতে পারছেন না; অন্যদিকে শিল্পের আমদানি করা কাঁচামালও কারখানায় আনতে পারছেন না। এতে করে শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আইজিপির কাছে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য যেন নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়, তার নিশ্চয়তা চান।
আইজিপি ব্যবসায়ীদের বলেন, যে কোনো মূল্যেই হোক, সরকার রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে বদ্ধপরিকর। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশকে আরও সক্রিয় ও তৎপর করা হবে।
বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী নেতারা মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসায় সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য যেন নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়, তার নিশ্চয়তা চান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এ সময় ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।