নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান স্মরণে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
সভার শুরুতে সবগুলো সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা জিল্লুর রহমান স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
জাতিসংঘের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে সংস্থাটির সবগুলো সদস্য রাষ্ট্র শ্রদ্ধা জানালো। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এতে বক্তব্য রাখেন।
জাতিসংঘের ৬৭তম সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট ভুক জেরেমিকের পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ঘানার স্থায়ী প্রতিনিধি কেন কান্দা এ শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন। তাছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা সভায় বক্তৃতা করেন।
জাতিসংঘের ৫টি আঞ্চলিক গোষ্ঠীর (এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম ইউরোপ, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা) চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ গোষ্ঠীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন। সার্কের পক্ষে শ্রীলঙ্কার স্থায়ী প্রতিনিধি ড. পালিথা কোহনা এতে বক্তৃতা করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন সভায় সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি আবেগঘন বক্তব্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আইভি রহমানের সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলে গ্রেনেড হামলার কথাও স্মরণ করেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে কেবল বাংলাদেশি জনগণ নয়, জাতিসংঘের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের সদস্য এবং জনগণ একইভাবে শোকাহত এবং ব্যথিত।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গত ২১ মার্চ বাংলাদেশ মিশনে এসে শোকবইতে তার শোকবাণী লিপিবদ্ধ করেন।