নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই উদ্বোধন হলো এক হাজার ৭৯৩ মিটার দীর্ঘ মিরপুর-বিমানবন্দর উড়াল সড়ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে বেলুন উড়িয়ে এ উড়াল সড়ক উদ্বোধন করেন।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই উড়াল সেতু জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার যানজট নিরসনে এই উড়াল সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।
উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে করে উড়াল সেতু পরিদর্শন করেন। পরে তিনি উড়াল সেতুর দুই দিকে দুটি ফল উন্মোচন করেন এবং একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন।
২০১০ সালের মার্চ মাসে মিরপুরের মাটিকাটা থেকে বিমানবন্দর সড়কের জিয়া কলোনী সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত এই উড়াল সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বৃহত্তর মিরপুরবাসী এই ফ্লাইওভার ব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট সড়কে পৌঁছাতে পারবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ১১ কিলোমিটার সড়কের পরিবর্তে এখন থেকে তাদের ব্যবহার করতে হবে মাত্র ৩ কিলোমিটার সড়ক।
এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯৯ কোটি টাকা। বনানী রেলক্রসিং ওভারপাস সহ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। আর প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে মীর আক্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যানজট নিরসনে এ প্রকল্পের আওতায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিজয় সরণীর মধ্যবর্তী বিমানবন্দর সড়কে চারটি ‘ইউ’ লুপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ চারটি ‘ইউ’ লুপের একটি আর্মি গলফ ক্লাব, দুটি নৌ সদর দপ্তর এবং একটি সেতু ভবনের পাশে নির্মিত হবে। এর ফলে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন হবে।