ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্থনি অবশেষে ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেনার চুক্তিতে দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল তিনি স্বীকার করে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সিবিআই গভীরভাবে তদন্ত করছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি কেউ না কেউ অর্থ গ্রহণ করেছেন। তদন্ত এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কাউকে ক্ষমা করবো না। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কোচিতে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রকিউরমেন্ট পলিসি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এ নীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে এফডিআই ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর এক প্রশ্নের ব্যাপারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা কোন তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। তাই এ মুহূর্তে আমরা কোন ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। এখন থেকে প্রকিউরমেন্ট পলিসি প্রতি বছরই পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে এটি প্রতি দুই বছর অন্তর পর্যালোচনা করা হতো। ইতালির মেরিন ইস্যুতে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের অবস্থান সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় বিচার বিভাগ ও সরকারের দৃঢ় অবস্থান দেশ এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শ্রীলঙ্কার তামিল ইস্যুতে তিনি বলেন, সমগ্র জাতি এবং সরকার ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তাদের একাত্মতা প্রকাশ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, কোন একটি দেশে সন্ত্রাসবাদ সীমাবদ্ধ নেই। কোন দেশই বলতে পারবে না যে, তারা সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।