ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: ভয়াল টর্নেডোর মরণছোবলের চিহ্ন চেয়ে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্গতদের কাছ থেকে শুনলেন সেদিনের ভয়াবহতার কথা। গতকাল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জারুলতলায় রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রত্যক্ষ করেন বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি। এসময় আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. শাহ আলম তার কাছে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেন। বর্ণনা করেন তখনকার পরিস্থিতি। জারুলতলায় মিনিট পনেরো অবস্থান করার পর প্রধানমন্ত্রী যান চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ মাঠে। প্রধানমন্ত্রী এখানে নিহতদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দুর্যোগে মনোবল না হারানোর আহ্বান জানান। বলেন, তার দল আওয়ামী লীগ ও সরকার সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে থাকে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সব ধরনের সহায়তাই করবে সরকার। এ কাজ শুরু হয়েছে। সাড়ে ছয় শ’ তাঁবু বানিয়ে দেয়ার কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজ এখানে জনসভা করতে আসিনি। দু’চোখ দিয়ে দেখতে এসেছি বাস্তব অবস্থা। যা দেখলাম তাতে আমি মর্মাহত। এ অবস্থা কল্পনাও করা যায় না। তিনি স্বজন হারানোদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, এই কষ্ট বেদনা আমি উপলব্ধি করি। কারণ আমিও স্বজন হারিয়েছি। তিনি দুর্গতদের সরকারের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানান। বলেন, যে কোন বিপদেই আওয়ামী লীগকে পাশে পাবেন। বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে জারুলতলা আসার সময় তিনি উড়শিউড়ায় কিছু সময় অবস্থান করেন। তিনি সেখানে টর্নেডোয় ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন।