জনপ্রশাসনে উপসচিব পদে ১৮২ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এছাড়া ২২ জন কর্মকর্তা শিক্ষা ছুটি, লিয়েন ও বিদেশে পোস্টিংসহ নানা ছুটিতে রয়েছেন। তাদের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যোগদান করার পরই তাদের পদোন্নতি কার্যকর হবে। সব মিলিয়ে ২০৪ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। নতুন পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ এবার বিবেচনায় এসেছে। ওদিকে দু’শতাধিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেলেও বঞ্চিত করা হয়েছে অর্ধশতাধিক মেধাবী কর্মকর্তাকে। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা এত দিন সিনিয়র সহকারী সচিব ছিলেন। প্রায় একমাস ধরে আলোচনার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে তাদের পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে ৬৪৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এছাড়া গেল মাসে ১৭ জন ভারপ্রাপ্ত সচিবকে পূর্ণ সচিব করা হয়েছে। এবারের পদোন্নতিতে ৪০ জন বঞ্চিত কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ৯ম, ১০ম, ১১তম ও ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা রয়েছেন। বঞ্চিতদের মধ্যে পদোন্নতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সহকারি একান্ত সচিব মো. সুরাতুজ্জামান, বিনিয়োগ বোর্ডের উপ- পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, ভূমি সচিবের একান্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ। এসব কর্মকর্তার অনেকের নামেই জনপ্রশাসনে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এছাড়া পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৩২ জন কর্মকর্তা প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য। বাকিরা সবাই অন্যান্য ক্যাডারের। ১৭তম ব্যাচের ৩৪ জন সিনিয়র সহকারী সচিব উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন ১৭ জন কর্মকর্তা। অন্যদিকে ১৮তম ব্যাচের ৯০ জন কর্মকর্তার মধ্যে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পদোন্নতি পাওয়া কয়েক জন কর্মকর্তা হলেনÑ আইন প্রতিমন্ত্রীর পিএস আহমেদ ফয়সাল ইমাম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর পিএস এম এ কামাল বিল্লাহ, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মো. আবদুল লতিফ, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার শেখ আকতার হোসেনসহ অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন।