এগোতে হবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে: প্রধানমন্ত্রী

এগোতে হবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে: প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ‘জনসংখ্যার গতি প্রকৃতি ও ২০১৫ উত্তর উন্নয়ন এজেন্ডা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক পরামর্শ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৫ সাল পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাকে মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে মৌলিক সেবার চাহিদা বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তার চাহিদা।

বৈশ্বিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শ্রমশক্তির অবাধ বিচরণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মানুষের বিচরণকে পারস্পারিক কল্যাণকর ও উৎপাদন প্রচেষ্টা হিসেবে দেখতে হবে। এজন্য অভিবাসীদের দেখতে হবে ‘উন্নয়নের কারিগর’ হিসেবে।

এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর যুব-সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুব সম্প্রদায়কে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

“শিক্ষার গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে বাজারের চাহিদা অনুসারে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি দারিদ্র্য বিমোচেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের বিষয়গুলোও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনের এই পরামর্শ সভায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক বাবাটুন্ডে ওসোতিমেহিন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক উলিয়াম লেইসি সুইংসহ ৬০টিরও বেশি দেশের সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিনোদন শীর্ষ খবর