পরিবেশ বান্ধব পণ্য উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সমুহের প্রশংসা করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৪ মার্চ তিনদিনব্যাপী বসুন্ধরা সিমেন্ট পরিবেশিত ‘গ্রিনট্রেড ইনভেস্টমেন্ট বাংলাদেশ সামিট’ এবং খান ব্রাদার্স শিপ বিল্ডিং পরিবেশিত ‘মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। (কারন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিষ্টার এসভেন্ড ওলিং এর বক্তব্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে) বানিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানেরই দায়িত্ব এ ধরনের আয়োজন করা এবং বাইরের দেশে এ ধরনের আয়োজনে অংশ নেওয়া।”
জিএম কাদের বলেন, “বাংলাদেশ সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এদেশের জনগন কঠোর পরিশ্রমের দেশে বিদেশে প্রচুর সুনাম অজর্ন করছে।
এছাড়া আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের দুই পাশে ভারত ও চীনের মত দু’টি অগ্রগামী দেশ থাকায় বাংলাদেশের বাণিজ্য অনেক এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, “হরতাল, অবরোধ, সহিংসতার মধ্যেও দেশ সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে বাইরের দেশগুলো।”
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এসভেন্ড ওলিং বলেন বাংলাদেশ প্রচুর সম্বাভনাময় দেশ। বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারার মিল রয়েছে। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোডের্র চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ মঈনুদ্দিন মিয়াজী বলেন, আমি পচা মাল (খারাপ জিনিস) উৎপাদন করতে দিন না, পচা মাল বিদেশে পাঠাতে দিব না এবং পচা মাল বাংলাদেশে আসতে দিব না। তিনি মানুষের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার দ্রব্যাদি উৎপাদনে সকল ব্যবসায়ীকে কিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এ.কে.এম মাহবুব-উজ-জামান বলেন, “উন্নত জীবন যাপনের জন্য বসুন্ধরা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সমাজ সাজানোর চেষ্টা করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমরাও চাই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে।”
এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও নিজেদের যার যার জায়গা থেকে এই উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
তিনদিনব্যাপী এ আয়োজনে সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, চীন, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র , মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে ৭০ টি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান মোট ৯০টি স্টলে ইকো-ইন্ডাসট্রিয়াল প্লান্ট উপকরণ, সোলার প্যানেল, সিএনজি এবং সাশ্রয়ী ওয়েল্ডিং সিস্টেমসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উপকরণ প্রদর্শন করছে।
বুয়েটের ডিওএ প্রধান অধ্যাপক ড. আজিজুল মওলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইএএ’র প্রেসিডেন্ট কে.এম.এইচ শহীদুল হক প্রমুখ।