দেশের রেল যোগাযোগের উন্নয়নে একটি মহাপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ সরকারের মেয়াদেই এটি চূড়ান্ত করা হবে এবং কিছু কাজ এগিয়ে রাখা হবে। পরবর্তী সরকার তাদের পাঁচ বছর মেয়াদে ওই প্ল্যান বাস্তবায়ন করবে। এই প্রস্তাবনায়, যমুনা সেতুর নিচ নিয়ে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ ডবল লেনের রেল সেতুর প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। যার জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি ডলার ধরা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। এর আগে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থায় সড়ক পথের ওপর থেকে চাপ কমাতে এবং রেলওয়েকে ব্যবসাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে রেলওয়ের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “রেলওয়ে খাতে আমাদের বিনিয়োগ কম। এছাড়া বিনিয়োগের প্রশাসনিক কাঠামোগত দুর্বলতাও রয়েছে। সেগুলো কীভাবে কাটিয়ে উঠা যায় সে বিষয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন এ খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছি।”
মুহিত বলেন, “আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ৫টি প্রকল্প রাখার চিন্তা ভাবনা করছি। যমুনা সেতুতে এখন যে রেলসেতুটি আছে সেটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভার বহন করতে সক্ষম। আমরা চাচ্ছি, ওই লাইনের নিচ দিয়েই আরেকটি দ্বৈত রেল লাইন স্থাপন করতে। এতে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে।”
এছাড়া খুলনা-চিলাহাটি পর্যন্ত ডাবল লাইন স্থাপন করা হবে। এতে করে নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহজ হবে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যমুনা সেতু ভূমিকা রাখছে। তবে রাজশাহী ও পাবনা যেতে হলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। ঈশ্বরদী থেকে একটি লাইন ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে রাজধানী পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করতে পদ্মার ওপর একটি ছোটো রেল সেতু তৈরি করা হবে।”
তিনি বলেন, “এছাড়া কুমিল্লা থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে।”
পাশাপাশি খুলনা-মংলা পর্যন্ত যে সিঙ্গেল রেল লাইন আছে সেটি সেটিকেও দ্বৈত লাইনে উন্নীত করা হবে।