স্বল্প আয়ের মুসলমানদের হজ পালনের সুযোগ করে দিতে এবার দুই ধরনের হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার।
প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে তিন লাখ ৪৭ হাজার ২৭ টাকা। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ পড়বে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টাকা। এর বাইরে কোরবানির খরচ আলাদা যুক্ত হবে।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এবার মোট একলাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজে যেতে পারবেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগামী মৌসুমের জন্য এই ‘হজ প্যাকেজ’ অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “স্বল্প আয়ের মানুষদের কথা বিবেচনা করে এবারই প্রথম সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি আলাদা প্যাকেজে হজ পালনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।”
দুটি প্যাকেজের মধ্যে পার্থক্য হবে কেবল বাড়ি ভাড়ায়। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা একই রকম হবে বলে সচিব জানান।
প্রথম প্যাকেজে বাড়ি ভাড়া পড়বে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ টাকা। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে ৮৩ হাজার ৭৯০ টাকা।
কোরবানির জন্য হ্জযাত্রীদের আলাদাভাবে কমপক্ষে সাড়ে চারশ সৌদি রিয়াল নিজ দায়িত্বে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
তিনি বলেন, এবার হ্জযাত্রীদের জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে গতবারের চেয়ে সামান্য কম।
এবার ভাড়া হবে এক লাখ ২২ হাজার ৮২৭ টাকা, যা গতবার ছিল এক লাখ ২৩ হাজার ৬২০ টাকা।
মার্কিন ডলারের দাম ৮০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে বিমানের এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ডলারের দাম কমলে বা বাড়লে বিমান ভাড়া বাড়তে বা কমতে পারে।”
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন ১০ হাজার বাংলাদেশি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একলাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন মুসলমান হজ করতে সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
সচিব জানান, গতবছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ১১ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন।
এবার বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো (নন-ব্যালটি) সরকারি প্যাকেজের চেয়ে কম খরচে হজ যাত্রী নিয়ে যেতে পারবে না বলেও উল্রেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।