প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কামরাঙ্গীরচরের বিশাল জনসভায় এসে উপস্থিত হয়েছেন।
রোববার বিকেল চারটায় তিনি কামরাঙ্গীরচরের কোম্পানি ঘাট ময়দানে এসে পৌঁছান।
এ সময় উপস্থিত জনতা উল্লসিত স্লোগান দিতে থাকেন। মাইকে নেতারা শেখ হাসিনা ও সরকারের প্রশংসামূলক বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগরীর কামরাঙ্গীরচরের এই জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদ ও জাতীয় সংসদ সদস্যগণ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করছেন।
জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর সেতু, হাসপাতাল, একটি মাধ্যমিক ও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং পুলিশকে গাড়ি প্রদান করেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া আমেরিকার উপনিবেশ চায় বলেই সে দেশের পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছেন। এটা সার্বভৌমত্ব বিরোধীকাজ। এজন্য খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমেরিকা যতোই ধনী, বড়লোক রাষ্ট্র হোক না কেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্য কারো খবরদারি করতে দেবে না এদেশের মাটিতে।’’
মহানগর আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “১৯৭১ সালে আপনারা বৃদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছেন, গণহত্যা করেছেন। আর এখনও তাই করছেন। এজন্য আপনাকে একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি যতোই যড়যন্ত্র করুন না কেন, যুদ্ধপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না । পর্যায়ত্রুমে তাদের বিচারের রায় হবে।”
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ককটেল ফাটিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে। ছাত্রদল এখন ককটেল দল।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জামায়াত শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে দেশটাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে এদের নৈরাজ্য রুখে দিতে হবে।’’