জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির বার্ষিক গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করেছে বাংলাদেশ।
রাজধানীর করাইল বস্তির শ্যামলা বেগমের দারিদ্র্যকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী নিয়ে যোগাযোগ বিশ্লেষক মাহতাব হায়দার ও যোগাযোগ কর্মকর্তা নাদের রহমানের যৌথভাবে লেখা গল্পটি এ পুরস্কার জেতে।
সোমবার মাহতাব ও নাদেরের পক্ষে ইউএনডিপির প্রশাসক হেলেন ক্লার্কের কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন।
গল্পটি সম্পর্কে হেলেন ক্লার্ক বলেন, “এই গল্পটি দারিদ্র্য দূরীকরণে এবং নারী উন্নয়নে ইউএনডিপির অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছে। এখানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগিতা, সার্বিক সঙ্কট মোকাবেলা, পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে জাতিসংঘের প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।”
হেলেন বলেন, “ইউএনডিপি সবসময় দরিদ্র মানুষের পাশে দারিদ্র্য দূরীকরণে যে কাজ করছে তা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিল গল্পটি।”
৬৬টি দেশ থেকে ১২০টি গল্প প্রতিযোগিতার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়। বৈশ্বিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক বিষয়ক অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত ১২ সদস্যের বিচারক পরিষদ এর মধ্য থেকে ১২ টি সেরা গল্প নির্বাচন করেন। এর মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলই শীর্ষ তিন পুরস্কারের দু’টি জিতে নেয়।
পুরস্কারজয়ী গল্পটিতে লেখা হয়, স্বামীর হাত ধরে ঢাকায় আসলেও দু’সন্তানসহ শ্যামলা বেগমকে ফেলে রেখে চলে যান স্বামী। তবে মনোবল না হারিয়ে ইউএনডিপির দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে বস্তির পাশেই চা দোকান দেন তিনি। লাভের মাধ্যমে এক সময় দারিদ্র্যকে জয় করেন শ্যামলা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের আর্থিক অনুদান প্রতিষ্ঠান ইকেএআইডি’র সহযোগিতায় বাংলাদেশের ২৯টি দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প থেকে সহযোগিতা নিয়ে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য জয় করেছে।