মানবতা বিরোধী অপাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল এবং শীর্ষ জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে জামায়াত ইসলামীর ডাকে বৃহস্পতিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হরতাল শুরু হয়েছে।
হরতাল শুরুর পর তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোর থেকে কোথাও পিকেটারদের উপস্থিতির কোন খবরও পাওয়া যায়নি।
নগরীর নাসিরাবাদে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে খুলশী থানা পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০টি ককটেল উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ।
নগরীতে যানবাহন চলাচল একেবারে কম। নগরীর রাস্তায় রিক্সা ছাড়া অন্য কোন যানবাহনের তেমন দেখা মিলছেনা। বিভিন্ন সড়কে বিচ্ছিন্নভাবে হাতেগোণা দু’একটি গণপরিবহন চলতে দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া নগরীতে প্রায় সব দূরপাল্লার পরিবহন কাউন্টারই বন্ধ আছে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে টায়ারে ও যানবাহনে আগুন দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। সেজন্য ভোর থেকে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়লে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
এদিকে হরতাল উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মোতায়েন আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
নগর পুলিশের বিশেষ শাখার সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে প্রায় দেড় হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। কেউ অপ্রীতিকর কিছু ঘটাতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
এদিকে হরতাল হলেও অধিকাংশ পোশাক কারখানা সচল আছে। এজন্য ভোর থেকে গার্মেণ্টস সহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমজীবী মানুষ কর্মস্থলে যেতে রাস্তায় নেমেছেন।
নগরীর বাইরে জেলার কোথাও হরতালকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন উপজেলায় হরতাল উপলক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।