বৃহস্পতিবার সকালে জাপার বনানী কার্যলয়ে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার জাতীয় পার্টিতে যোগদানের এক অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আসুন একত্রে নির্বাচন করি। গণতন্ত্র সুসংহত হোক।
“প্রধানমন্ত্রী আগামী জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছেন। গণতন্ত্রকে রক্ষা ও সুসংহত করতে প্রত্যেক দলেরই উচিত হবে সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমরা সংঘাতপূর্ণ কোন পরিবেশ চাই না। আমরা মুক্তভাবে বাঁচতে চাই।”
একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও পরামর্ম দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
এরশাদ মনে করেন, যে কোন দলের ‘ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে’ জাতীয় পার্টি ‘বিগ ফ্যাক্টর’।
তিনি বলেন, “দেশে আজ এমন কোন দল নেই যারা জাতীয় পার্টির সমর্থন ছাড়া সরকার গঠন করতে পারে।”
তবে দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবেই অংশ নেবে বলে জানান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
এ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, মানুষ পরিবর্তন চায়। খুন, হ্ত্যা, জখমের রাজনীতির বলয় থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়।
“মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একজন সৈনিক, আমার কথার কোন নড়চড় হয় না। আমরা একলা নির্বাচন করে এগিয়ে যেতে চাই।”
জাপা চেয়ারম্যান এ সময় এও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় সরকার গঠনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘জাপাতে মহাজোটের পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধারা সক্রিয়’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সমালোচনাও করেন এরশাদ।
“আমার দলে কোন বিভক্তি নেই। জাপার প্রত্যেক নেতাকর্মী দলের নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আমি জাপা পরিবারের অভিভাবক। আমি যা বলবো সেটাই ফাইনাল।”
চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া দলের কোন সদস্যকে নীতি নির্ধারণী কোন বক্তব্য না দেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
সম্প্রতি রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এরশাদ বলেন, “সেনাবাহিনী শক্তিশালী হোক এটা আমরা সবাই চাই। আমি আশা করবো এ অস্ত্র কেনা নিয়ে আমার দলের ভেতরে যেন কোন আলোচনা না হয়।”
এর আগে, টাঙ্গাইল ৮ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দীকির নেতৃত্বে বাসাইল উপজেলা পরিষদের ভাইসে চেয়ারম্যান মো সাইফুল ইসলাম তার সমর্থকদের নিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
মো. সাইফুল ইসলাম ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, কাজী মাহমুদ হাসান মাহমুদ, আহসান হাবীব লিংকন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।