যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় তিনি গত ২১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় হিসেবে আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে বিষদ বর্ণনা দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বৈঠকে সব দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১সালের বর্বরোচিত ওই ঘটনার ৪১ বছর পর বাংলাদেশ তার নিজস্ব আইনে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের বিচার করছে। ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে বিশ্বের অনেক দেশই সমর্থন জানিয়েছে- এমন জানিয়ে তিনি কূটনীতিকদের কাছে এ সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম রায় ঘোষিত হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকটি মিডিয়ায় খবরটিকে ভিন্নভাবে প্রচার করায় সরকারের ভেতরে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিচারে সমর্থন জানালেও রায়ে মৃত্যৃদণ্ড দেওয়ায় আপত্তি জানায় যুক্তরাজ্য।
ওই বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, “আমরা এনিয়ে যা বিবৃতি দিয়েছি সে অবস্থানে রয়েছি।”
বৈঠকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, রায়ের বৈধতা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সূত্রমতে, ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে বিচার বন্ধের দাবিতে বহুমুখী অপপ্রচার চালিয়ে আসছে ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত। এরই ধারাবাহিকতায় তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে বিচার বন্ধে তদবির করাতেও সক্ষম হয় তারা। এর মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ রয়েছে।