প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গোপালগঞ্জ আসছেন। এদিন গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় মোট ৮টি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার সেখ আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত ফ্যাক্স বার্তায় জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমান বন্দর হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন।
১১টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্সে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সমিতি কর্তৃক ২০১২ সালের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর পর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্সে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের টুঙ্গিপাড়া শাখা উদ্বোধন ও কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট ও রাধাগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চেক বিতরণ করবেন।
বিকেল ৩টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি ভবন ও নির্মাণাধীন ভৌত অবকাঠামোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও মতবিনিময়, হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের কার্যক্রম উদ্বোধন ও গোপালগঞ্জ জাতীয় মহিলা সংস্থার কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
বিকেল ৪টায় গোপালগঞ্জ শহরের ঘোষেরচরে নবনির্মিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনের উদ্বোধন করবেন।
বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে সাজ সাজ রব। টুঙ্গিপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশ বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। নির্মাণ চলছে সুদৃশ্য তোরণের।
মরা মধুমতি নদীর উপর নির্মিত লেকের দুইতীর পরিস্কার করা হচ্ছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ দেওয়ার লেখন কাজ শেষ করেছে। জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও রাস্তার দুইপাশে প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে স্বাগত জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টার লাগাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমণ উপলক্ষে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জেলার প্রবেশদ্বারসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল রহমান জানিয়েছেন, এ প্রকল্পে মোট ৯১ কোটি টাকা খরচ হবে। এ প্রকল্পের ডিপিপি বরাদ্দ ছিল ৭৫ কোটি ৮ লাখ টাকা।
গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু জানান, ৪ কোটি ৩৭ লাখ ২ হাজার টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।