রাজধানীতে কাদরির অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি । তিনি বলেছেন, পার্লামেন্ট ভবনের কাছে দেশটির ধর্মীয় নেতা তাহির-উল-কাদরি সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার করা হবে না।
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনে টেলিফোনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ইসলামাবাদের লং মার্চের ওপর কোন শক্তি ব্যবহার করা হবে না।”
ইসলামবাদে দ্রত রাজনীতিক পরিবর্তন প্রেসিডেন্ট পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ‘যে কোনো পরিস্থিতি’ মোকাবেলা করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন -জারদারির মুখপাত্রের এ বক্তব্যের একদিন পরেই জারদারির এ কথা বললেন।
জারদারির মুখপাত্র ফারহাতুল্লাহ বাবর বলেন, “ প্রেসিডেন্ট সরকারের সিদ্ধান্ত পুর্নব্যক্ত করে বলেছেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং কোন কারণে বিলম্ব করা হবে না।”
দেশের অনিশ্চিত রাজনেতিক পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে জারদারি দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে গুজব ছড়ানোর পরেই বুধবার তার মুখপাত্র এ কথা বলেন।
বাবর বলেন, “করাচিতে জারদারি আরও থাকবেন । তবে এর সঙ্গে কাদরির কর্মসূচির কোনো সম্পর্ক নেই।”
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট তার সূচি অনুযায়ী কাজ চালাবেন। প্রেসিডেন্টের সূচিতে ইসলামাবাদ বা যেকোনো খানে কাদরির অবস্থান প্রভাব ফেলবে না।”
পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার দাবিতে ও দুর্নীতি মুক্ত পাকিস্তান গড়তে সরকার পতনে মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে লং মার্চ করেন তেহরিক-ই-মিনহাজুল কুরআনের নেতা কাদরি। ‘রাজনীতির আগে দেশ বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের পর তিনি লংমার্চ শুরু করেন। লং মার্চ শেষে ইসলামাবাদে অবস্থান নিয়েছেন কানাডা প্রবাসী এই ধর্মীয় নেতা। বুধবার রাতের মধ্যেই জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সময় বেঁধে দেন তিনি।
পাকিস্তানি নাগরিক কাদরি টানা সাত বছর কানাডায় থাকার পর গত মাসে হঠাৎ করেই দেশে ফেরেন। কাদরির মূল দাবি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সামরিক বাহিনী ও বিচার বিভাগের পরামর্শে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনের আগে ‘সৎ মানুষ’ জয়ী হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কার আনা।
দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেই কাদরির এ ভূমিকায় দেশটিতে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের ধারণা, পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সমর্থন নিয়েই এ ভূমিকায় নেমেছেন কাদরি। কাদরির কর্মসূচির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেরও সমর্থন রয়েছে।