সবার আগে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শাহবাগ থানা শাখা আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যের ৪ বছর’ শীর্ষক আলোচন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারও করে না, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারও করে না। তাই সবার আগে আসল কাজ নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা। কিন্তু কেউ আসল জায়গায় নেই। কেউ আছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে, আবার কেউ আছেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে।”
তিনি আরো বলেন, “মেরুদণ্ড ভাঙা নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন নেই। আসল হল জনগণের সমর্থিত সাহসী নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। নির্বাচন কমিশন হবে জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধার। তবেই নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো আঘাত এলে জনগণই নির্বাচন কমিশনের পাশে দাঁড়াবে।”
সুরঞ্জিত বলেন, “৭৫-এর পর জিয়া নির্বাচন কমিশনকে বির্তকিত করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাকে ৯৯ শতাংশ ভোট এনে দিয়েছে। পরে তিনি খাকি পোশাক পরে তালিকা দিয়ে নির্বাচন করেছেন। ৮৬-তে নতুন খেলোয়াড় এসে নির্বাচন করেন। ৮৮ সালের নির্বাচন তো আরো ভয়াবহ। এরপর ৯১ সালে এসে কিছুটা গণতন্ত্রের দেখা পাওয়া গেছে। এরপর আবার খালেদা জিয়া এসে নির্বাচন কমিশনকে বির্তকিত করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসবের বাইরে এসে এখন প্রয়োজন একটি শক্তিশালী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা।”
এ সময় সুরঞ্জিত বিরোধীদলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তবে ধানাই-পানাই বাদ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করুন। আগামী নির্বাচনকে কিভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।”
এখন বিভিন্ন তরিকার হরতাল হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজকে (বুধবার) বামদলগুলোর হরতাল ছিল নিশান উড়ানোর হরতাল। জামায়াতের হরতাল বোমাবাজির হরতাল, বিএনপির হরতাল গরম গরম। কত তরিকার হরতাল হচ্ছে তার কোনো শেষ নেই।”
জোটের উপদেষ্টা সিরাজুল হক বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, এমএ করিম, মজিবুর রহমান প্রমুখ।