মুসলিম উম্মার শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এবার দিল্লির মাওলানা মো. জোবায়রুল হাসান আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। বেলা একটায় মোনাজাত শুরু হয়।
মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের জন্য পরম করুনাময়ের কাছে ফরিয়াদ জানান লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। মোনাজাত চলাকালে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে তুরাগ তীর। রেডিও, টেলিভিশন এ এই মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচার করায় সারা দেশের কোটি মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। মোবাইল ফোনেও অনেকে মোনাজাতে শরিক হন। মোনাজাতের আগে সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে চলে হেদায়তি বয়ান। আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোটর গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে মোনাজাতে অংশ নিতে মুসুল্লিরা পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। সকাল সাড়ে ৯ টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মাঠের আশে-পাশের রাস্তা, অলি-গলিতে অবস্থান নেন মুসল্লিরা। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে হাজার হাজার লোক পুরানা খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে সড়কে বসে পড়েন। এছাড়া আশেপাশের ভবনের ছাদেও অবস্থান নিয়েও মোনাজাতে অংশ নেন অনেকে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ এ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ আসর প্রায় শত জোড়া বর-কনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আগামি শুক্রবার শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
আরো ৫ মুসল্লীর মৃত্যু:
ইজতেমা ময়দানে শনিবার রাতে আরো ৫ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- ভারতের কলকাতার চব্বিশ পরগনার মো. রফিক উদ্দিন (৬৩), ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার মৈন্দা গ্রামের আলাউদ্দিন শেখ (৫০), যশোরের মনিরামপুর থানার তেতুলিয়া এলাকার সৈয়দ আলী খান (৭০), হবিগঞ্জের লাখাইল থানার সিংহগ্রামের মো. ইব্রাহীম (৫০) ও চাঁদপুরের উত্তর দাজদি এলাকার আবুল খায়ের (৫৫)। মাসলেহাল জামাতের জিম্মাদার মো. আদম আলী ভোরে ফজরের নামাজের পর এই পাঁচজনের জানাজা হয়। এ নিয়ে গত তিন দিনে ইজতেমায় আসা নয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।