শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার বিশ্বাসের মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চাইলো সংসদীয় কমিটি। তাদের প্রশ্ন- আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানিয়ে রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে কেন কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হলো। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় বিকাশের মুক্তি হয়েছে। ১৫ বছর ধরে বিকাশ কারাবন্দি ছিলেন। জেলগেট থেকে তাকে আবার গ্রেপ্তার করার কোন যথাযথ কারণও পুলিশের কাছে ছিল না। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বৈঠকে কমিটির সভাপতি নিজেই সন্ত্রাসী বিকাশের বিষয়টি তোলেন। তিনি জানতে চান, কেন বিকাশকে কারাগার থেকে ছাড়ার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের বন্দি মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর সুপারিশ করেছে কমিটি। গত ১৪ই ডিসেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ। শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি পাওয়ার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর নিয়ম থাকলেও ওই সময় এটি মানা হয়নি। বিকাশকে ১৯৯৭ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই সময়ে বিকাশের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগসহ ১২টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ছয়টি মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকি মামলাগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন। এদিকে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় যানজট নিরসন করে যাত্রীদের সময় অপচয় রোধে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা কমিটিতে দাখিলের সুপারিশ করা হয়। এসময় কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মির্জা আজম, মো. মুজিবুল হক চুন্নু, সানজিদা খানম ও মো. সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, কারা মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম খান, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কমিটির সভাপতি মো. ছায়েদুল হক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।