জ্বালানি উপদেষ্টাকে মেননের চ্যালেঞ্জ

জ্বালানি উপদেষ্টাকে মেননের চ্যালেঞ্জ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উপদেষ্টার দেয়া বক্তব্যকে ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণতান্ত্রিক বামপন্থি ১০ দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাত দিয়ে দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা। কিন্তু আমরা জানি বিশ্ববাজারে দাম বাড়েনি। জ্বালানি উপদেষ্টা মিথ্যা বলেছেন। বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে বলে উপদেষ্টার বক্তব্য প্রমাণ করার জন্য আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করছি। চ্যালেঞ্জ প্রমাণ করতে না পারলে হয় তিনি পদত্যাগ করবেন, নয়তো আমি করবো। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার উপদেষ্টা পুষছে, আমরা এমন উপদেষ্টা চাই না। আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক এ দেশ স্বাধীন করেনি যে তাদের প্রেসক্রিপশনে তেলের দাম বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আড়াই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের অজুহাত দিয়ে সরকার জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। অথচ এ রকম কত আড়াই হাজার কোটি টাকা হলমার্ক, শেয়ার বাজার বা ডেসটিনি দুর্নীতি করেছে। সরকারের টাকার এত প্রয়োজন থাকলে তাদের টাকাগুলো ফেরত নিলেই হয়। কুইক রেন্টাল বা পিকিং পাওয়ারের নামে সরকারের উপদেষ্টারা বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি করেছে। টাকা পাচার করেছে। আর এর দায়ভার জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরকারের উপদেষ্টা ও মন্ত্রীরা বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে ৯ বার দাম বাড়ানোর কথা বলছেন। বিএনপি চুরি করলে কি আওয়ামী লীগকেও চুরি করতে হবে- এমন প্রশ্ন করেন মেনন। সরকার এভাবে বারবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াতে থাকলে বিল না দেয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। গণআজাদী লীগের সভাপতি হাজী আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আবু আহমেদ শাহাবুদ্দিন, গণঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সভাপতি ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও ন্যাপ (মোজাফফর)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।

অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ শীর্ষ খবর