বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন ও ধর্ষণ নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য এ অপরাধের বিরুদ্ধে গণজাগরণ এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন গতকালও সংসদ ভবন ও প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে। সংসদ ভবনের সামনে ‘ধর্ষণ; শুধু নারী নয়, পুরো মানবজাতির বিরুদ্ধে অমার্জনীয় অপরাধ, একে রুখতে হবে এখনই’ শিরোনামে নারী নির্যাতন বিরোধী মঞ্চ অপরদিকে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান সুপ্র ক্রমবর্ধমান ‘ধর্ষণ পরিস্থিতিতে জাতি হতবাক’ ব্যানারে প্রেস ক্লাবের সামনে পৃথক মানববন্ধনে ধর্ষণ বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। সংসদ ভবনের সামনে নারী নির্যাতন বিরোধী মঞ্চ আয়োজিত মানববন্ধনে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, রাশেদা কে চৌধুরী, সুলতানা কামাল, লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ওদিকে প্রেস ক্লাবের সামনে সুপ্র আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতা খুললেই ইয়াসমিন, সিমিদের নামের সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম- যা জাতিগতভাবে আমাদের জন্য লজ্জা ও ধিক্কারের। সমপ্রতি পুরান ঢাকার একজন নারী চিকিৎসকের ধর্ষিত হওয়া, সিরাজগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনা, সাভারে ধর্ষণ ও জোরপূর্বক ভিডিও করা, ফরিদপুরে গণধর্ষণের পর হত্যা এবং সর্বোপরি টাঙ্গাইলে কিশোরীর ধর্ষিত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে যাওয়া জাতিগতভাবে আমাদের সভ্যতাকে নতুন করে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। দেশে প্রচলিত আইন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, যৌন হয়রানি বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন, সামপ্রতিক সময়ে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে জাতীয় নারীনাীতি, অশ্লীল দৃশ্য রেকর্ড প্রচার নিয়ন্ত্রণে সাইবার ক্রাইম দমন আইন- কোন কিছুই বর্বর এবং নিষ্ঠুর ঘটনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটলেও শাস্তি প্রদানের পরিসংখ্যান হতাশাজনক। রাষ্ট্রযন্ত্রের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব এবং সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য জাতিগতভাবে এই দায় আমাদের সবার। এতে আরও বক্তব্য দেন সুপ্র চেয়ারপারসন মুস্তাফিজুর রহমান খান, নির্বাহী সদস্য ডেইজি আহমেদ, জাতীয় পরিষদ সদস্য মাধব চন্দ্র দত্ত, পরিচালক সামিয়া আহমেদ, সমন্বয়কারী কাজী শফিকুর রহমান প্রমুখ।