তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির জন্য তারা আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “জনগণের রায় নিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। সংবিধান সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্র যাতে অব্যাহত থাকে সবাইকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেউ যদি সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখর করে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। সেটা সংবিধানে নিশ্চিত করেছি।”
বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তাদের একমাত্র লক্ষ্য তত্ত্বাবধায়কের নামে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. অনুপম সেন, গণআজাদী লীগের সভপতি হাজি আবদুস সামাদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সংসদ সদস্য সানজিদা খানম।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “যখনই গণতন্ত্র এনেছি, আঘাত এসেছে। গণতন্ত্র থাকলে মানুষ কিছু পায়। ৭৫-এর পর ২১ বছার যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের জন্য, জনগণের জন্য কিছুই করতে পারেনি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ইয়াহিয়া খানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য, পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার জন্য ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছিল। যখন পরাজিত শত্রুরা দেখলো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখনই তারা চরম আঘাত হানলো ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর। এরপর ২১ বছর একের পর এক ১৮/১৯টা ক্যু হয়েছে, সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছে। রাজনীতিকদের তুলে নিয়ে গেছে। ২১ বছর পরাজিত শক্তির দোসরদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। আর দেশের মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ক্ষমতার উচ্ছৃষ্ট বিলিয়ে দিয়ে এলিট গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। আর সাধারণ মানুষ হয়েছে বঞ্চিত। সরকারের কি কাজ তারা জনতো না। তাদের কাজ ছিল শুধু লুটপাট করা। ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর মানুষ বুঝতে পারে সরকার মানে জনগণের সেবক।”
শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের সকল চাওয়া-পাওয়ার উর্ধ্বে উঠে জাতির পিতার নির্দেশিত পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাতির পিতার মতো ত্যাগ স্বীকারে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে চলছি বলেই আমরা চার বছরে এতো উন্নয়ন করতে পেরেছি। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ২০২১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।”